আবিস্কারের খাতায় আরও একটি নতুন প্রজাতির
নাম লিপিবদ্ধ করলেন উভচর প্রাণী বিষয়ক বিজ্ঞানিরা। সম্প্রতি তরুণ বাংলাদেশী
বিজ্ঞানী সাজিদ আলী হাওলাদার বাংলাদেশের নীলফামারী থেকে মাইক্রোহাইলা নামক
গণের আরেক প্রজাতির ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন যা প্লস-ওয়ান নামক গবেষণা
জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। নীলফামারী তে আবিষ্কৃত হওয়ায় সাজিদ এই ব্যাঙের
নাম দিয়েছেন “মাইক্রোহাইলা নীলফামারিয়েনসিস”। নিঃসন্দেহে সাজিদের এই
আবিস্কার আরও একবার বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে বড় করে তুলে ধরলো।
প্রজাতিটি দেখতে এই গণের অন্য প্রজাতির
মতোন এমনকি বিস্তৃতিও অন্যদের সাথে মিলে যায়। গবেষক ড. সাজিদ এই নতুন
প্রজাতির নাম দেন Microhyla nilphamariensis. এটি দেখতে অনেকটাই M. ornate
এর মতোন হলেও জীনগত দিক থেকে এদের পার্থক্য অনেক বেশি।জিনগত গবেষণার মাধ্যমে দেখা যায় যে,M. ornate ও Microhyla এর মধ্যে 16s rRNA জীনের তুলনা করলে শতকরা প্রায় ৫.৭ থেকে ১৩.২ ভাগ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় যা নিঃসন্দেহে এটিকে নতুন প্রজাতির স্বীকৃতি দেয়। এছাড়াও, এদের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ঠ আছে যা এদেরকে এক আলাদা প্রজাতি হিসেবে পরিচিতি দিতে বাধ্য।
মাথার দৈর্ঘ্য প্রস্থের তুলনায় শতকরা ৭৭ ভাগ, চোখ থেকে স্নাউটের দূরত্ব চোখ থেকে নাসারন্ধ্রের দূরত্বের তুলনায় ছয় গুণ, ইন্টারন্যারিয়াল দূরত্ব থেকে ইন্টারঅরবিটাল দূরত্ব দুই গুণ এবং নীচের চোয়ালের পেছন থেকে চোখের পেছন পর্যন্ত দূরত্ব মাথার দৈর্ঘের তুলনায় শতকরা ৭৫ ভাগ।
এছাড়াও মেটাকারপালের ভেতরের দিক ছোট ও
ডিম্বাকার যেখানে বাইরের দিক খুব ছোট ও গোলাকার, আঙ্গুলগুলোর মাঝে ওয়েব
থাকলেও তা পূর্ণাংগভাবে নেই, ডিজিটাল ডিস্ক অনুপস্থিত, ভেতরের দিকের
মেটাটারসাল টিউবারকল ছোট ও গোলাকার অন্যগুলো ক্ষুদ্র, ডিম্বাকার এবং
নির্দিষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, সাজিদ হাওলাদার গত কিছুদিন আগেই
আরও একটি নতুন ব্যাঙ আবিস্কার করেন যা বিশ্বে প্রাণী জগতের তালিকায় নয়া
সংযোজন হিসেবে স্বীকৃত হয়।
No comments:
Post a Comment