Saturday, December 17, 2016

মশা ও মাছি বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যাঙের ভূমিকা

মশা ও মাছি বাহিত রোগ , যা ব্যাঙ মশা ও মাছি খেয়ে এই সকল রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে :

ম্যালেরিয়া (Malaria): ম্যালেরিয়া হল মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের একটি মশা বাহিত সংক্রামক রোগ যার মূলে রয়েছে প্লাজমোডিয়াম গোত্রের প্রোটিস্ট (এক ধরনের অণুজীব)। এটি একটি সংক্রমিত স্ত্রী মশা (অ্যানোফিলিস) কামড় সাথে শুরু হয়, যা তার লালা মাধ্যমে প্রোটিস্টর সংবহন তন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে এবং শেষে যকৃতে পৌছায়, যেখানে তারা পরিপক্ক হয় এবং বংশবৃদ্ধি করে । ফলে রোগীর শরীরে রক্তসল্পতার লক্ষণ দেখা যায়। অন্যান্য সাধারণ লক্ষণসমূহ হল কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, শীতশীত ভাব এবং বমি-বমি ভাব। এই রোগের মারাত্মক দশায় রোগীর কোমা এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।


ডায়রিয়া : যত্র তত্র মল ত্যাগ হোল ডায়রিয়া রোগের অন্যতম কারন । খোলা জাগায় মল মুত্র ত্যাগের কারণে তার উপড়ে মশা ও মাছি বসে । ঐ মশা বা মাছি যখন খাদ্য এর মধ্যে বসে তা থেকে ডায়রিয়া ভাইরাস আমদের শরীরে প্রবেশ করে ডায়রিয়া রোগ ছড়ায় ।


কালাজ্বর : Psychodidae গোত্রের বালিমাছি কালাজ্বরের (kala-azar) জীবাণু বহন করে। বাংলাদেশে প্রোটোজোয়া সৃষ্ট এই রোগটির দ্রুত প্রত্যাবর্তন ঘটছে। এরা স্বল্পমাত্রায় ক্ষত (oriental sore) সৃষ্টি করে। বালিমাছি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি সর্বত্র বিদ্যমান এবং স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার ও নোংরা জায়গায় বংশবৃদ্ধি করে।


ডেঙ্গু : ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত রোগ । এটা এডিস মশা দ্বারা ডেঙ্গু রোগীর থেকে সুস্থ মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় ।


 চিকুন গুনিয়াঃ  ডেঙ্গু জ্বরের মতোই ভাইরাসজনিত একটি অসুখ দেখা যাচ্ছে। এতে দেহের তাপমাত্রা হঠাৎ অনেক বেড়ে ১০৪ ডিগ্রি বা আরও বেশি উঠে। এ জ্বরের নাম চিকুন গুনিয়া। এডিস মশার কামড়ে এ জ্বর হয়।

কলেরা ও টাইফয়েড : ঘরের মাছি (House fly) কলেরা ও টাইফয়েডের জীবাণু ছড়ায়।


অ্যানথ্রাক্সে : এদেশের গৃহপালিত পশুপাখির সাধারণ রোগ অ্যানথ্রাক্সের (Anthrax) জীবাণু Tabanid মাছি বহন করে।


এই ছারা ও অনেক জটিল জটিল রোগের অন্যতম কারন মশা ও মাছি যা খেয়ে ব্যাঙ আমাদের অনেক উপকার করে থাকে । তাই ব্যাঙ রক্ষ্যায় আমাদের আর সচেতন হওয়া উচিৎ ।

No comments:

Post a Comment